TINER TOLOWAR

TINER TOLOWAR

সম্ভবত পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত নাটক লেখা ও অভিনীত হয়েছে তার মধ্যে এমন একটা নাটকও ছিলো না যে নাটকে অন্য়ায়, শোষণ, নীপিড়ন নির্যাতন, সামাজিক অনাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর মানবিক মূল্য বোধের পক্ষে কথা বলেনি। সে ধারাবাহিকতায় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনেও প্রতিবাদ মুখরতায় সোচ্চার ছিলো নাটক। যে আইন করে হার্মাদ জলদস্যু বৃটিশ সরকার নাটক ও অভিনয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলো। নাট্য কারদের কলম থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো। আমাদের বাংলা থিয়েটারের এক মহৎপ্রাণ নাট্যজন থিয়েটার নিয়ে আমৃত্যু লড়াকু সৃজনশীল মানুষ উৎপল দত্ত সেই প্রেক্ষাপটের ব্যঙ্গ ও বর্ণনার মাধ্যমে এদেশের সাধারণ মানুষ ও থিয়েটারওয়ালাদের লড়াই আর দেশপ্রেমকে তুলে ধরেছিলেন তাঁর ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকে।

  • Director :Ananta Hira
  • Writer :Utpol Datta
  • Producer :Prangonemor
  • Release date:2024-04-14

টিনের তলোয়া

TINER TOLOWAR


এ সময়ে টিনের তলোয়া!! সম্ভবত পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত যত নাটক লেখা ও অভিনীত হয়েছে তার মধ্যে এমন একটা নাটকও ছিলো না যে নাটকে অন্যায়, শোষণ, নীপিড়ন নির্যাতন, সামাজিক অনাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর মানবিক মূল্য বোধের পক্ষে কথা বলেনি। সে ধারাবাহিকতায় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনেও প্রতিবাদ মুখরতায় সোচ্চার ছিলো নাটক। কতটা সোচ্চার আর সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলো নাটক তার প্রমাণ ১৮৭৬ সালের বৃটিশ সরকারের অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন অর্ডিন্যান্স জারি করা। যে আইন করে হার্মাদ জলদস্যু বৃটিশ সরকার নাটক ও অভিনয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলো। নাট্যকারদের কলম থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো। আমাদের বাংলা থিয়েটারের এক মহৎপ্রাণ নাট্যজন থিয়েটার নিয়ে আমৃত্যু লড়াকু সৃজনশীল মানুষ উৎপল দত্ত সেই প্রেক্ষাপটের ব্যঙ্গ ও বর্ণনার মাধ্যমে এদেশের সাধারণ মানুষ ও থিয়েটারওয়ালাদের লড়াই আর দেশপ্রেমকে তুলে ধরেছিলেন তাঁর টিনের তলোয়ার নাটকে। এ নাটকটিকে বাংলা ভাষার একটি অন্যতম সেরা নাটক এবং একই সংগে সেরা জনপ্রিয় নাটক বললে বোধ করি অমত করার মানুষ খুব বেশি মিলবে না।


উৎপল দত্ত মহোদয়য়ের পিপলস্ লিট্ল থিয়েটার কর্তৃক এ নাটক প্রথম অভিনীত হয় কোলকাতার রবীন্দ্র সদন মঞ্চে ১৯৭১ সালের ১২ আগস্ট। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। আমাদের থিয়েটারের অগ্রজদের অনেকেই তখন মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনে অনেকেই কোলকাতায় বসে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে স্বাধীন বাংলাদশের জন্য কাজ করছিলেন। তাঁদের অনেকেই মঞ্চে তখনকার তুমুল দর্শক প্রিয় এই নাটক দেখেছেনও। আমাদের থিয়েটারের অন্যতম উজ্জ্বল বাতিঘর অগ্রজ মামুনুর রশীদ মহোদয়ের তো রীতিমতো উৎপল দত্তের সংগে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব ছিলো। ছিলো বাড়ি পর্যন্ত যাতায়াত। সেটা অবশ্য অন্য বা ভিন্ন প্রসঙ্গ। যে প্রসঙ্গে আসাটা জরুরী সেই প্রসঙ্গটা হচ্ছে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আবার টিনের তলোয়া কেন? কী প্রয়োজন?


টিনের তলোয়ার নাটকের প্রথম দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই মাতাল বেনীমাধব তার দলের সদস্য নটবরকে নিয়ে শেষ রাতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার লাগাচ্ছেন। তুমুল মাতাল একজন দলপ্রধান এক থিয়েটারওয়ালা তথাপি থিয়েটারের প্রচারের দিকটি তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনটাই তো আছে আজও। আমাদের বাংলা থিয়েটারের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ থিয়েটারওয়ালাদের কাছে থিয়েটারের প্রচারের দিকটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাঁ প্রচারের নানান ধরণ মাধ্যম পেরিয়ে এখন আমরা গুগল, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারসহ আরো কত টেকনোলজি ও টেকনিক ব্যবহার করছি। কিন্তু হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ থিয়েটারওয়ালাদের কাছে থিয়েটারের প্রচারের গুরুত্বটা এবং প্রচার নিয়ে নাট্যনির্দেশক ও দলপ্রধানদের টেনশন বা উদ্বিগ্নতা একই রকম আছে আজও। ঠিক একই ভাবে থিয়েটারওয়ালাদের লড়াইটাও একই আছে ? নাকি পরিধি পরিসর এবং শত্রæ আরো বেড়েছে সেটা নিয়ে আমি নিজে কিছুটা সংশয়আক্রান্ত! উৎপল দত্ত তাঁর টিনের তলোয়া নিয়ে লড়েছিলেন হার্মাদ জলদস্যু বৃটিশ শাসন শোষণ নির্যাতন নীপিড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন সমাজের সামাজিক বৈষম্য এবং সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে। আমরাও তো লড়ছি আমাদের থিয়েটার নিয়ে ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, সামাজিক অনাচার, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি, অপসংস্কৃতি রুচিহীনতার বিরুদ্ধে। আমরা লড়তে বাধ্য রুচিহীনতা টিকটক জ¦র আর ভাইরাল হওয়ায় যে অসুস্থ প্রতিযোগতিার মহোৎসব চলছে বিশ^জুড়ে তার বিরুদ্ধে। আর এই লড়াইয়ে উৎপল দত্ত তাঁর ‘টিনের তলোয়ার’ নিয়ে আমদের কমরেড সহযোদ্ধা।  


মঞ্চে

নটবর মুদি               

মোফাজ্জল হোসেন

বেণীমাধব (কাপ্তেন বাবু)

অনন্ত হিরা

মেথুর                          

মশিউর রহমান ভুঁইয়া

ময়না                                       

বাঁধন সরকার

জলদ                           

সবুক্তগীন শুভ

যদুগোপাল                   

সাহেদ সরদার

হরবল্লভ                                   

শিশির চৌধুরী

বসুন্ধরা (আঙুর)                       

গুলশান বহ্নি

কামিনী (পেয়ারা)                     

তমা হোসেন 

প্রিয়নাথ                                   

সুজয় গুপ্ত

বাচস্পতি ল্যাম্বাড                  

সীমান্ত আমিন

বীরকৃষ্ণ                                   

আউয়াল রেজা

বৃন্দাবন, ভীম ও ব্রিটিশ দারোগা

ফাহিম মুনতাছির

গস্তি                        

নাজিম আহমেদ ত্বকি

সারদা                          

তন্নী ইসলাম

নেপথ্যে

রচনা                           

উৎপল দত্ত

নির্দেশনা                      

অনন্ত হিরা

মঞ্চ                             

ফয়েজ জহির

আলো পরিকল্পনা                     

ঠান্ডু রায়হান

পোশাক                                   

নূনা আফরোজ

আলো প্রয়োগ              

তৌফিক আজীম রবিন

সঙ্গীত পরিচালনা                     

শিশির রহমান

সহসঙ্গীত পরিচালনা    

শিশির চেীধুরী

সঙ্গীত প্রয়োগ              

জুয়েল রানা নাজিম আহমেদ ত্বকি

পোস্টার লোগো, ব্রুশিয়ার  প্রচারপত্র অলংকরণ

চারু পিন্টু

মুদ্রণ ব্যবস্থাপনা                       

সারোয়ার সৈকত

মঞ্চ ব্যবস্থাপনা             

সবুক্তগীন শুভ শিশির চৌধুরী

মিলনায়তন ব্যবস্থাপনা 

রামিজ রাজু, সাগর রায়, লিটন, প্রকৃতি সিকদার, জুয়েল রানা বুলেট, আহম্মেদ

কাওসার, সুমন মল্লিক, পার্থ মজুমদার, মৌসুমী মৌ, ঝুমুর আসমা জুঁই, রুমা

আক্তার, মাসুম সেন্টু, অরবিন্দ পান্তি, মাজহারুল ইসলাম অচল, নিয়াজ মাহবুব,

তন্নী ইসলাম, শামসুল সাম্মী, আরিফ রেজা।


Leave a reply here